শনিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৫

বেনসন সাহেবের বৈজ্ঞানিক কারখানা―রায়ান নূর

আরে একি! স্বপ্নকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়! অবিশ্বাস্য ! কোন কালে শুনিনি জলে ইঞ্জিন চলে এমনকি একটি আস্ত স্বয়ংক্রিয় কার! ভিজিটিং কার্ডে ভিডিও-কল ! অদৃশ্য দেয়াল;তাও আবার একটা কারখানা পুরো অদৃশ্য করে রাখে ! দেখছি সবকিছুই কেমন স্বয়ংক্রিয় কাজ করে যাচ্ছে  ৷ অবিশ্বাস্য! 
ওগুলো কি ইঁদুর ? ওরাও মানুষের মতো ইলেক্ট্রনিক্সের কাজ করে?   বেনসন কিভাবে এসব করলি?
― দেখতে হবে ব্যক্তিটা কে? বেনসন ৷ মাষ্টারমশায় যেখানে গুরু বেনসন সেখানে কখনো বিফল হয়?
― ও,হ্যাঁ মাষ্টারমশায়ের দাতব্য বিশ্ববিদ্যালয় কি কোন অধ্যাপক ছাড়াই চলে ৷ নাকি পুরো ডিজিটাল?
― মাষ্টারমশায়ের ফেরারী দাতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ডিজিটাল অধ্যাপক,ডিজিটাল কর্মচারী ৷ আর কোন মানুষের বালাই নেই ৷
―অবাক হলেম, তুই সবকিছুই পারবি! একটা কারখানাও করেছিস যেখানে রোবটের ছড়াছড়ি ৷ মানুষ পর্যন্ত যাবার অনুমতি নেই ৷ কি মিথ্যে বললাম!
―তুই যখন সবই জানিস,খামোখা অবাক হবার দরকার কী? বৈজ্ঞানিক কারখানা যখন হয়েছে ৷ এরপর দেখবি নিত্য নতুন কত ডিজিটাল বুদ্ধি ৷ আবিষ্কারের সংখ্যা মহাগ্রন্থ  লিখলেও শেষ হবেনা রে ৷ মাষ্টারমশায় বলে,‘যাদের মাথায় পার্থিব বিষয় সহজে ধোপে টিকে না,তারাই কেবল দুই-এক লাইন লিখে ৷’
―তা বটেই,তোর পরবর্তী পরিকল্পনা কী শুনি? না এক কারখানাতে সবকিছু চুকিয়ে দিবি?
― মাষ্টারমশায় মাষ্টার-প্ল্যান দিয়েছে বানাতে হবে সাত-তারা হোটেল যেখানে সবকিছু স্বয়ংক্রিয়, থাকবে ননস্টপ জেনারেটরের ব্যবস্থা ৷
―বুঝলুম তুই মস্ত বড় বিজ্ঞানী, দেখিস সব প্রযুক্তি যেন কাগুজে লেখক চুরি না করে ৷
― বিন্দু নিয়ে সিন্ধু গড়া যায় না ৷ পৃথিবীর উন্নতমানের এই কারখানায় তাইতো মানুষ প্রবেশে কড়া নিষেধারোপ ৷ সবই মাষ্টারমশায়ের মাষ্টার-প্ল্যান ! আমি তো নদীমাত্র ৷